You are currently viewing আমের উচ্চ ফলন পেতে যেই বালাই ব্যবস্থা আগেই গ্রহন করা উচিত

আমের উচ্চ ফলন পেতে যেই বালাই ব্যবস্থা আগেই গ্রহন করা উচিত

আমের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করতে বালাই ব্যবস্থাপনা আগেই গ্রহণ করা উচিত। এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হয়:

১. বাগান পরিষ্কার রাখা

  • বাগানের মাটিতে থাকা আগাছা ও পড়ে থাকা পচা ফল নিয়মিত পরিষ্কার করা।
  • মাটি খুঁড়ে পোকা ও লার্ভার আবাসস্থল ধ্বংস করা।

২. ফুল ও ফল ধরার আগে বালাই নিয়ন্ত্রণ

  • ম্যাঙ্গো হপার: আমের ফুলে আক্রমণ করে। ফুল ফোটার আগে কীটনাশক (যেমন ইমিডাক্লোরপিড বা কার্বারিল) স্প্রে করা।
  • বেড বাগ ও মিলিবাগ: এগুলো চিহ্নিত করে স্প্রে করা বা গাছে আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা।

৩. মুকুল আসার সময় বিশেষ নজর

  • পাউডারি মিলডিউ ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগ প্রতিরোধে ফুল ফোটার সময় প্রতি ১০-১২ দিনে ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করা (যেমন কার্বেনডাজিম বা ম্যানকোজেব)।

৪. ফল ধরার পর ব্যবস্থা

  • ফলছিদ্র পোকা (ফ্রুট বোরা): ফল বড় হওয়ার পরপরই ১০-১২ দিনের ব্যবধানে কীটনাশক স্প্রে করা (যেমন সাইপারমেথ্রিন)।
  • আক্রান্ত ফল দ্রুত গাছ থেকে তুলে ফেলা।

৫. জৈব পদ্ধতির ব্যবহার

  • নিম তেল বা নিম নির্যাস: কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে জৈবিকভাবে পোকা দমন।
  • আঠালো ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদ: ক্ষতিকর পোকা আকর্ষণ ও ধ্বংস করার জন্য।

৬. সুষম সার ও পানি সরবরাহ

  • গাছের পুষ্টি নিশ্চিত করতে নিয়মিত সারের প্রয়োগ ও সঠিক সময়ে পানি দেওয়া।
  • সুস্থ গাছ বালাইয়ের প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আগাম বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমের ফলন বৃদ্ধি ও গুণগত মান উন্নত রাখা সম্ভব।

Leave a Reply